আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি (জাপা)সহ ১৪ দলকে “ফ্যাসিবাদী শক্তি” আখ্যা দিয়ে তাদের বিচারের দাবি জানিয়েছে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণঅধিকার পরিষদ, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)সহ ২২টি রাজনৈতিক দল।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টা থেকে সন্ধ্যা সোয়া ৭টা পর্যন্ত রাজধানীর বিজয়নগরের আলরাজি কমপ্লেক্সে গণঅধিকার পরিষদের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।
বৈঠকের সিদ্ধান্তসমূহ
বৈঠক থেকে সর্বসম্মতিক্রমে পাঁচটি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়—
- গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরসহ নেতাকর্মীদের ওপর হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ।
- ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন ও দোষীদের গ্রেপ্তার।
- ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠা।
- ফ্যাসিবাদী শক্তি হিসেবে চিহ্নিত আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলের বিচার।
- নুরুল হক নুরসহ নেতাকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে শহীদ মিনারে ফ্যাসিবাদবিরোধী সংহতি সমাবেশ।
জাতীয় পার্টি নিষিদ্ধের প্রস্তাব
সভায় অংশ নেওয়া কয়েকটি রাজনৈতিক দল জাতীয় পার্টিকে “ফ্যাসিবাদের দোসর” আখ্যা দিয়ে দলটিকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানায়। তবে কয়েকটি দল আপত্তি করায় প্রস্তাবটি গৃহীত হয়নি।
বৈঠকে উপস্থিতরা
সভায় সভাপতিত্ব করেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান। উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন নবী খান সোহেল, জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ, ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন, এনসিপির আক্তার হোসেন, জাগপার মুখপাত্র রাশেদ প্রধান, এনডিএমের মহাসচিব মোমিনুল আমিনসহ ২২ দলের নেতারা।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর এই যৌথ উদ্যোগ আগামী জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ তৈরি করতে পারে।