তাসকিন-সাইফের বোলিং দাপট
টস জিতে বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন, আর তার এই সিদ্ধান্তকে যথার্থ প্রমাণ করেন তাসকিন আহমেদ ও সাইফ হাসান। তাসকিন তার প্রথম স্পেলেই ৩৮ রানের মধ্যে নেদারল্যান্ডসের দুই ওপেনারকে সাজঘরে ফেরত পাঠিয়ে বাংলাদেশকে দারুণ শুরু এনে দেন। এরপর স্পিনার সাইফ হাসান এক ওভারেই ডাচ অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস এবং তেজা নিদামানুরুকে বিদায় করে প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলেন। তাসকিন তার তৃতীয় ও চতুর্থ ওভারে আরও দুটি মূল্যবান উইকেট শিকার করে ডাচদের বড় সংগ্রহের স্বপ্ন ভেঙে দেন। তিনি ৪ ওভার বল করে মাত্র ২৮ রান খরচায় ৪টি উইকেট তুলে নেন। বাংলাদেশের বোলারদের দাপুটে পারফরম্যান্সের মুখে সফরকারীদের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৬ রান আসে নিদামানুরুর ব্যাট থেকে।
লিটন ও সাইফের ব্যাটিং ঝড়
১৩৭ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই টি-টোয়েন্টি মেজাজে ব্যাট করে বাংলাদেশ দল। দলীয় ২৬ রানে ওপেনার পারভেজ ইমন (৯ বলে ১৫ রান) ফিরলেও তাতে রান তাড়ার গতি শ্লথ হয়নি। দ্বিতীয় উইকেটে আরেক ওপেনার তানজিদ তামিমকে নিয়ে অধিনায়ক লিটন দাস ৩৯ বলে ৬৬ রানের বিস্ফোরক এক জুটি গড়েন। দশম ওভারে তানজিদ ২৪ বলে ২৯ রান করে ফিরে গেলেও লিটন তার আক্রমণাত্মক ব্যাটিং চালিয়ে যান। তৃতীয় উইকেটে সাইফ হাসানকে সঙ্গে নিয়ে তিনি ৪৬ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন। লিটন মাত্র ২৬ বলে ব্যক্তিগত পঞ্চাশের দেখা পান এবং শেষ পর্যন্ত ২৯ বলে ৬টি চার ও ২টি ছক্কায় অপরাজিত ৫৪ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলেন। সাইফ হাসানও ১৯ বলে ১টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৩৬ রানে অপরাজিত থেকে দলের জয় নিশ্চিত করেন।
বল হাতে ডাচ ব্যাটিং লাইনআপের কোমর ভেঙে দেওয়ার স্বীকৃতিস্বরূপ ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন তাসকিন আহমেদ। আগামী ১ সেপ্টেম্বর একই মাঠে তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে আবারও মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডস।