সত্যি কি যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা ফি ১৩৫% বাড়ছে ?

যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ ও অন্যান্য নন-ইমিগ্র্যান্ট ভিসার জন্য নতুন একটি অতিরিক্ত ফি যুক্ত হচ্ছে, যা আবেদনকারীদের খরচ ১৩৫% এরও বেশি বাড়িয়ে দেবে। মার্কিন কংগ্রেসে সম্প্রতি পাস হওয়া ‘ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল অ্যাক্ট’ অনুযায়ী, এই নতুন ‘ভিসা ইন্টেগ্রিটি ফি’ কার্যকর হতে যাচ্ছে।

নতুন ফি-এর পরিমাণ ও কার্যকারিতা

বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে একটি ভিজিট ভিসার (B1/B2) ফি $185। নতুন আইন অনুযায়ী, এর সঙ্গে অতিরিক্ত $250 যোগ হবে। ফলে ভিসার মোট খরচ বেড়ে দাঁড়াবে $435। বাংলাদেশি মুদ্রায় এটি প্রায় ৫৩ হাজার টাকার সমান।

আইন অনুযায়ী, এই নতুন ফি ২০২৫ সালের ১ অক্টোবর থেকে কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে। তবে প্রশাসনিক প্রস্তুতির কারণে এটি ২০২৬ সাল থেকে পুরোপুরি কার্যকর হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন।

কারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন?

এই নতুন ফি শুধু পর্যটকদের জন্য নয়, বরং আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী, অস্থায়ী কর্মী, এবং এক্সচেঞ্জ ভিজিটরসহ বেশিরভাগ নন-ইমিগ্র্যান্ট ভিসার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। এতে যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণ, পড়াশোনা বা কাজের জন্য আরও ব্যয়বহুল হয়ে উঠবে।

ফি কি ফেরতযোগ্য?

আইনে বলা হয়েছে যে নির্দিষ্ট শর্ত সাপেক্ষে এই অতিরিক্ত ফি ফেরতযোগ্য হতে পারে। তবে এই প্রক্রিয়াটি বেশ জটিল এবং দীর্ঘ হতে পারে। তাই বাস্তবে খুব কম সংখ্যক মানুষই এই ফি ফেরত পাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

মার্কিন সরকারের এই পদক্ষেপ পর্যটনকে নিরুৎসাহিত করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন আন্তর্জাতিক পর্যটন খাতের বিশেষজ্ঞরা। একই সঙ্গে, এটি উন্নয়নশীল দেশগুলোর শিক্ষার্থীদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে উচ্চশিক্ষার গন্তব্য হিসেবে আরও ব্যয়বহুল করে তুলবে।

তথ্য সূত্র: The Tico Times, Forbes

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top