বাংলাদেশ সরকার আধুনিক যুদ্ধবিমান কেনার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে চীনের তৈরি জে-১০সি মডেলের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করেছে। কূটনৈতিক সূত্র জানায়, এর আগে গত মার্চে নোবেলজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর সঙ্গে বৈঠকে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা প্রসঙ্গেও আলোচনা করেছিলেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, জে-১০সি একটি চতুর্থ প্রজন্মের উন্নত যুদ্ধবিমান, যা সুপারসনিক গতিতে উড়তে সক্ষম। এটি আধুনিক AESA রাডার ব্যবহার করে শত্রুপক্ষের জঙ্গি বিমান শনাক্তকরণে অত্যন্ত কার্যকর। এর আকাশ থেকে আকাশে ও আকাশ থেকে ভূমিতে আঘাত হানার সক্ষমতা রয়েছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এটি ২০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে নিখুঁত হামলা চালাতে পারে।
বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, জে-১০সি অন্তর্ভুক্ত হলে বিমানবাহিনীর সক্ষমতা আরও বৃদ্ধি পাবে এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তায় নতুন মাত্রা যোগ হবে। তবে এ নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও কোনো ঘোষণা দেয়নি সরকার।
উল্লেখ্য, চীন ইতোমধ্যেই পাকিস্তানকে জে-১০সি সরবরাহ করেছে। পাকিস্তান এটিকে ভারতের রাফায়েল যুদ্ধবিমানের পাল্টা হিসেবে ব্যবহার করছে। সামরিক বিশ্লেষকদের মতে, দক্ষিণ এশিয়ার শক্তির ভারসাম্যে এই যুদ্ধবিমান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।