অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন শহরে দশ-হাজারো মানুষ রোববার (জাতীয় দিবসের কর্মসূচির অংশ হিসেবে) গাজায় চলমান গণহত্যা বন্ধের দাবিতে রাস্তায় নেমে আসে। সিডনি, মেলবোর্ন, ব্রিসবেন, অ্যাডিলেডসহ প্রধান নগরীগুলোতে আয়োজিত এই বিক্ষোভে মানুষের ঢল নামে।
বিক্ষোভকারীরা অস্ট্রেলিয়া সরকারের প্রতি আহ্বান জানায় যেন তারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আরও কঠোর অবস্থান নেয় এবং ফিলিস্তিনিদের ওপর দমন-পীড়ন বন্ধে কার্যকর কূটনৈতিক পদক্ষেপ গ্রহণ করে। আয়োজকরা জানিয়েছেন, এটি দেশের ইতিহাসে অন্যতম বৃহৎ সমন্বিত প্রতিবাদ কর্মসূচি।
ব্রিসবেন থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক সারাহ ক্লার্ক জানিয়েছেন, মিছিল-সমাবেশে শিশু, নারী ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধি একত্র হয়ে “গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করো”, “ফিলিস্তিনের মুক্তি চাই” ইত্যাদি স্লোগান দেন।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
শুধু অস্ট্রেলিয়া নয়, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্র, এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে ফিলিস্তিনের সমর্থনে ব্যাপক বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
- লন্ডনে হাজার হাজার মানুষ ইসরায়েলি দূতাবাসের সামনে সমাবেশ করে গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবি জানায়।
- আমেরিকার ওয়াশিংটন ডিসি ও নিউ ইয়র্কে বিশাল বিক্ষোভ হয়, যেখানে ইসরায়েলের সামরিক অভিযানকে “মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ” হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।
- তুরস্ক, জর্ডান ও মালয়েশিয়ায় সরকারিভাবে গাজায় যুদ্ধ বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দ্রুত হস্তক্ষেপের আহ্বান জানানো হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার এই আন্দোলন প্রমাণ করে, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে সাধারণ মানুষ ফিলিস্তিনের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে উঠছে। ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক চাপ ইঙ্গিত দিচ্ছে, গাজায় চলমান মানবিক বিপর্যয় ঠেকাতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া এখন সময়ের দাবি।
সূত্র- আলজাজিরা