মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং অন্যান্য ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে তার বৈঠককে ‘ফলপ্রসূ’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। ট্রাম্প বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চয়তার বিষয়ে ‘জড়িত থাকবে’ এবং তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও জেলেনস্কির মধ্যে একটি বৈঠক আয়োজনের পাশাপাশি তিন নেতার মধ্যে একটি ত্রিপক্ষীয় শীর্ষ সম্মেলনের জন্য ব্যবস্থা শুরু করেছেন।
বৈঠক ও আলোচনার বিষয়বস্তু
আলাস্কায় পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের মাত্র কয়েক দিন পর হোয়াইট হাউসে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো। বৈঠকের আগে ট্রাম্প ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগদানের উচ্চাকাঙ্ক্ষা এবং ২০১৪ সালে রাশিয়ার দখলে যাওয়া ক্রিমিয়া ফিরে পাওয়ার আশা ত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। যদিও এই বৈঠকে ট্রাম্প তার অবস্থান থেকে কিছুটা সরে আসেন এবং ইউক্রেনের নিরাপত্তার বিষয়ে ইউরোপকে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তার আশ্বাস দেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিও তার পক্ষ থেকে ট্রাম্পকে যুদ্ধ বন্ধের প্রচেষ্টার জন্য ব্যক্তিগতভাবে ধন্যবাদ জানান। ইউরোপীয় ইউনিয়নের কূটনীতিকরা জানিয়েছেন যে, বৈঠকের মাঝপথে ট্রাম্প পুতিনের সঙ্গে প্রায় ৪০ মিনিটের জন্য ফোনে কথা বলেছেন, যা এই আলোচনার গুরুত্বকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের সম্ভাবনা
ট্রাম্পের পক্ষ থেকে পুতিন এবং জেলেনস্কির মধ্যে একটি বৈঠকের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যার পর একটি ত্রিপক্ষীয় শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে পারে।3 ট্রাম্প এই প্রক্রিয়াকে চার বছর ধরে চলা যুদ্ধ বন্ধের একটি ‘ভালো ও প্রাথমিক পদক্ষেপ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। জেলেনস্কি তার বক্তব্যে বলেন, তিনি পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের জন্য ‘প্রস্তুত’ এবং আশা করেন যে এক সপ্তাহের মধ্যে নিরাপত্তা নিশ্চয়তার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য আনুষ্ঠানিকভাবে নথিবদ্ধ করা হবে।
ট্রাম্পের এই উদ্যোগ শান্তি প্রতিষ্ঠার একটি নতুন দিক উন্মোচন করেছে, যেখানে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া এবং ইউক্রেন সরাসরি আলোচনায় বসবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই বৈঠকের মূল লক্ষ্য হলো ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং চলমান সংঘাতের একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান খুঁজে বের করা।
সূত্র- আলজাজিরা