বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতদের ভর্তি ঠেকাতে চাপ দিয়েছিল ডিবি—ট্রাইব্যুনালে চিকিৎসক মাহফুজুর রহমানের সাক্ষ্য

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গুলিবিদ্ধ আহতদের ভর্তি করতে বাধা দিয়েছিল গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)– এমন অভিযোগ করেছেন রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস অ্যান্ড হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মাহফুজুর রহমান।

বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ সাক্ষ্য দিতে গিয়ে তিনি এ তথ্য জানান। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন দুই সদস্যের বেঞ্চে তিনি বলেন, ২০২৩ সালের ১৯ জুলাই গুলিবিদ্ধ আহত রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় ডিবির সদস্যরা হাসপাতালে উপস্থিত হন এবং নতুন করে আহতদের ভর্তি না করার জন্য চাপ দেন। এমনকি তখন ডিবি কর্মকর্তারা হুমকি দিয়ে বলেন— “অতি উৎসাহী হবেন না, আপনি বিপদে পড়বেন। যাদের ভর্তি করেছেন তাদের ছাড়বেন না। এ বিষয়ে ওপরের নির্দেশ রয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ডা. মাহফুজুর রহমান আরও জানান, জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে সংঘটিত ঘটনাগুলো মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করে তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাতের ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন।

সকালে ১৩তম সাক্ষী হিসেবে ডা. মাহফুজুর রহমানের জবানবন্দি গ্রহণ শুরু হয় এবং পরে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন তাকে জেরা করেন।

এদিন একই ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিয়েছেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেসের সিনিয়র স্টাফ নার্স শাহনাজ পারভীনও। এর মধ্য দিয়ে এখন পর্যন্ত মামলাটিতে মোট ১৪ জন সাক্ষী জবানবন্দি দিলেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top