ট্রাম্পের শর্ত ও ইউক্রেনের প্রতিক্রিয়া
হোয়াইট হাউসে বৈঠকের কয়েক ঘণ্টা আগে ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখেন যে, ইউক্রেনকে শান্তিচুক্তি করতে হলে ক্রিমিয়া ও ন্যাটো নিয়ে তার দাবি ত্যাগ করতে হবে। জবাবে জেলেনস্কি তার ফেসবুক পোস্টে বলেন, “রাশিয়াকে এই যুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য কোনো পুরস্কার দেওয়া উচিত নয়… এবং মস্কোকেই ‘বন্ধ করো’ শব্দটি শুনতে হবে।” এই মন্তব্য ট্রাম্পের আহ্বানের সরাসরি প্রতিক্রিয়া হিসেবে দেখা হচ্ছে।
রাশিয়ার হামলা ও কূটনৈতিক প্রচেষ্টা
এই বৈঠক এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হলো যখন রাশিয়া ইউক্রেনে একের পর এক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। খারকিভ এবং জাপোরিঝিয়ায় ভয়াবহ হামলায় হতাহতের খবর পাওয়া গেছে। জেলেনস্কি এই হামলাকে ‘কূটনৈতিক প্রচেষ্টাকে অপমান’ করার চেষ্টা বলে বর্ণনা করেছেন। ট্রাম্পের সঙ্গে পুতিনের আলাস্কার বৈঠকের পরপরই এই হামলা শুরু হয়, যা ইউক্রেনের ওপর চাপ বাড়িয়েছে।
বৈঠক ও এর পরবর্তী আলোচনা
হোয়াইট হাউসের এই বৈঠককে ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনা ছিল। ইউক্রেনের সঙ্গে একা বৈঠকের পর ট্রাম্প ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গেও মিলিত হন। ট্রাম্পের মতে, শান্তি আলোচনায় ‘যথেষ্ট অগ্রগতি’ হয়েছে এবং তিনি পুতিন ও জেলেনস্কির মধ্যে একটি বৈঠক আয়োজনের চেষ্টা করছেন। তবে জেলেনস্কি স্পষ্ট করেছেন, কোনো ধরনের আঞ্চলিক ছাড় ছাড়াই যুদ্ধ শেষ করতে চান। সূত্র- আলজাজিরা