মাঠে দীর্ঘ সময় ও পেশাদারিত্বের নির্দেশনা
অফিসার্স অ্যাড্রেসে সেনাপ্রধান বলেন, “দীর্ঘ সময় ধরে সেনারা মাঠে দায়িত্ব পালন করছেন, যা আগে এত দীর্ঘ ছিল না।” তিনি সেনা সদস্যদের জনগণের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখার এবং দূরত্ব থাকলে তা দূর করার নির্দেশ দেন। তিনি আরও বলেন, দেশের মানুষ এখন সেনাবাহিনীর দিকে তাকিয়ে আছে এবং তোমরাই দেশের ভবিষ্যৎ। তাই দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হতে হবে এবং বাহিনীর চেইন অব কমান্ড অক্ষুণ্ন রাখতে হবে। সেনাপ্রধান সবাইকে মাঠে দায়িত্ব পালনের সময় সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব দেখানোর এবং কোনো ধরনের প্রতিশোধমূলক কাজে না জড়ানোর নির্দেশ দেন।
ভুয়া তথ্য ও কটূক্তি নিয়ে সতর্কবার্তা
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ছড়ানো বিভ্রান্তিকর বার্তা প্রসঙ্গে সেনাপ্রধান বলেন, এসব দেখে বিভ্রান্ত হওয়া যাবে না, বরং সতর্ক থাকতে হবে। তিনি বলেন, কিছু তরুণ এসব কাজ করছে, যারা বড় হলে নিজেদের ভুল বুঝতে পারবে। তিনি আরও বলেন, এসব মন্তব্যে অখুশি হওয়ার কিছু নেই, কারণ সেনাবাহিনী একটি পেশাদার সংগঠন এবং তারা তাদের কাজ করে যাবে।
শৃঙ্খলা ও নৈতিকতার ওপর জোর
সেনাপ্রধান জানান, একজন সেনা সদস্যের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগ তদন্তাধীন রয়েছে এবং অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, সেনাবাহিনীর কোনো সদস্য রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়াতে পারবেন না। এছাড়া, একজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের অভিযোগ নিয়েও তদন্ত চলছে। সেনাপ্রধান বলেন, নৈতিক স্খলনের বিষয়ে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না, তবে মিডিয়া ট্রায়ালের ভিত্তিতে কাউকে সাজা দেওয়া হবে না।
জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, রাষ্ট্র একজন সেনা কর্মকর্তাকে গড়ে তুলতে বিপুল অর্থ ব্যয় করে। তাই অপরাধে জড়িয়ে পড়ার আগেই তাদের ওপর নজর রাখা উচিত, যাতে রাষ্ট্রের অর্থের অপচয় না হয়।
এর আগে গত ২১ মে অফিসার্স অ্যাড্রেসে তিনি বলেছিলেন, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন হওয়া উচিত এবং নির্বাচনের বিষয়ে তার অবস্থান এখনো একই রয়েছে।