মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে সোমবার হোয়াইট হাউসে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইউরোপীয় নেতাদের অংশগ্রহণে সম্প্রসারিত এ বৈঠকের আগে ট্রাম্প ইউক্রেনকে ক্রিমিয়া দাবি ত্যাগ ও ন্যাটো সদস্যপদ না চাওয়ার পরামর্শ দেন, যা তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।
বৈঠকের মূল ইস্যু:
– ক্রিমিয়া প্রশ্ন: ২০১৪ সালে রাশিয়ার দখলকৃত ক্রিমিয়া পুনরুদ্ধারের আশা ত্যাগ করতে ইউক্রেনকে আহ্বান জানান ট্রাম্প
– ন্যাটো সদস্যপদ: ইউক্রেনের ন্যাটো যোগদানের আকাঙ্ক্ষাকে “অবাস্তব” আখ্যা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট
– জেলেনস্কির জবাব: “রাশিয়াকে যুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য পুরস্কৃত করা উচিত নয়… মস্কোকে শুধু একটিই শব্দ শুনতে হবে: থামো” – ফেসবুক পোস্টে এ মন্তব্য করেন ইউক্রেনীয় নেতা
প্রেক্ষাপট:
এই বৈঠকের মাত্র কয়েকদিন আগে আলাস্কায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে জাঁকজমকপূর্ণ শীর্ষ বৈঠক করেন ট্রাম্প। এদিকে, রাশিয়া ইউক্রেনের খারকিভ ও জাপোরিজহিয়া অঞ্চলে চলমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে, যা জেলেনস্কি “কূটনৈতিক প্রচেষ্টাকে অপমান করার চেষ্টা” বলে অভিহিত করেছেন।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া দখলকে অবৈধ হিসেবে দেখে আসলেও ট্রাম্পের সাম্প্রতিক বক্তব্য ইউক্রেন সংকটে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই বৈঠক ইউক্রেন যুদ্ধের ভবিষ্যৎ গতিপথ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
ইউক্রেনীয় পক্ষ জোর দিয়ে বলছে, তাদের ভূখণ্ড পুনরুদ্ধার ছাড়া কোনো সমাধান গ্রহণযোগ্য হবে না। অন্যদিকে, ট্রাম্প প্রশাসনের অবস্থান যুদ্ধবিরতি ও আলোচনার মাধ্যমে সংকট সমাধানের পক্ষে।
স্থানীয় সময় সোমবার দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা ১৫ মিনিটে) শুরু হওয়া এ বৈঠকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ন্যাটো নেতারাও পরবর্তীতে যোগ দেন। বৈঠকের ফলাফল নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র আগ্রহ দেখা যাচ্ছে।
সূত্র- আলজাজিরা