ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোত্রিচের পশ্চিম তীরে ৩,০০০ এর বেশি নতুন ইহুদি বসতি নির্মাণের ঘোষণায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। জাতিসংঘ এ পদক্ষেপকে “দুই রাষ্ট্র সমাধানের সম্ভাবনা ধ্বংসকারী” আখ্যা দিয়েছে, যেখানে ইইউর পররাষ্ট্রনীতি প্রধান কায়া ক্যালাস একে “আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন” বলে চিহ্নিত করেছেন।
গাজার ভয়াবহ পরিস্থিতি:
– ক্ষুধায় মৃত্যু: গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪ জনের মৃত্যু নিয়ে ইসরায়েলি অবরোধে ক্ষুধায় মৃত ফিলিস্তিনির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৩৯ জনে, যার মধ্যে ১০৬ শিশু
– সাম্প্রতিক হামলা: বৃহস্পতিবার গাজার বিভিন্ন স্থানে ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছে ৩২ জন, যার মধ্যে ১৩ জন ছিলেন সাহায্যপ্রার্থী নাগরিক
যুদ্ধের সর্বশেষ পরিসংখ্যান:
– গাজায় মৃত: ৬১,৭৭৬ জন (ইসরায়েলি হামলায়)
– আহত: ১,৫৪,৯০৬ জন
– ইসরাইলে প্রাণহানি: ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস হামলায় ১,১৩৯ জন নিহত ও ২০০-এর বেশি জিম্মি
E1 প্রকল্প কেন বিতর্কিত?
পশ্চিম তীরের E1 এলাকায় ইসরায়েলের এই বসতি পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে:
– ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের ভূখণ্ড দ্বিখণ্ডিত হবে
– পূর্ব জেরুজালেম ও পশ্চিম তীরের মধ্যে ফিলিস্তিনি সংযোগ বিচ্ছিন্ন হবে
– দুই রাষ্ট্র সমাধানের পথ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে যেতে পারে
জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক সতর্ক করেছেন, “এটি শান্তি প্রক্রিয়ার জন্য মারাত্মক বিপদ ডেকে আনবে।” গাজার মানবিক সংকট ও পশ্চিম তীরে বসতি সম্প্রসারণের এই দ্বৈত নীতি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক চাপ আরও বাড়িয়ে তুলছে। সূত্র- আলজাজিরা