পাবনার ফরিদপুরে বিএনপি নেতা জিয়াউর রহমান জিয়ার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় দলীয় নেতাকর্মীরা এসব অভিযোগ নিয়ে সম্প্রতি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ শীর্ষ নেতাদের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
জিয়াউর রহমান ফরিদপুর উপজেলা বিএনপির স্থগিত কমিটির সদস্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। অভিযোগে বলা হয়েছে, তিনি দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন, যার কারণে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। এছাড়া আওয়ামী লীগের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকার প্রমাণ হিসেবে বিভিন্ন ভিডিও ও ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে।
অভিযোগপত্রে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, জিয়াউর রহমান তার গড়ে তোলা ক্যাডার বাহিনীর মাধ্যমে এলাকায় চাঁদাবাজি, জমি দখল ও সালিশ বাণিজ্য পরিচালনা করছেন। এমনকি তার বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগও উঠেছে, যার প্রমাণ হিসেবে একটি ভিডিওও রয়েছে বলে জানা গেছে।
ফরিদপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্যসচিব আব্দুল হাকিম খান বলেন, “৫ আগস্টের পর তিনি হঠাৎ করে বিএনপির বড় নেতা হয়ে গেছেন। এরই মধ্যে তিনি তিনতলা বাড়ি করেছেন, প্রাইভেট কার কিনেছেন। এসব টাকা কোথা থেকে এলো তা নিয়ে প্রশ্ন আছে।”
অভিযুক্ত জিয়াউর রহমান জিয়া এসব অভিযোগকে “মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত” বলে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি দাবি করেন, “আমার বিরুদ্ধে একটি পক্ষ মিথ্যা অভিযোগ তুলছে এবং প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভুয়া ভিডিও তৈরি করছে।”
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব জানিয়েছেন, “অভিযোগের বিষয়টি আমার জানা ছিল না। এখন বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এ ঘটনায় উপজেলা বিএনপির রাজনীতিতে তীব্র অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। নেতাকর্মীরা আশঙ্কা করছেন, এ ধরনের ঘটনা দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে পারে। সূত্র- জাগো নিউজ