তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার (১৩ আগস্ট) রাত ৯টা ১০ মিনিটে বিমান বাংলাদেশের একটি বিশেষ ফ্লাইটে তিনি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। এর আগে মালয়েশিয়ার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তার ফ্লাইটটি যাত্রা করে। প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এই খবর নিশ্চিত করেছেন।
মালয়েশিয়ায় উষ্ণ অভ্যর্থনা ও গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক
সফরকালে প্রধান উপদেষ্টাকে মালয়েশিয়ায় উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়। তিনি তার দীর্ঘদিনের বন্ধু, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠকে দুদেশের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়াতে পাঁচটি সমঝোতা স্মারক ও তিনটি নোট অব এক্সচেঞ্জ স্বাক্ষরিত হয়। এসব চুক্তি দুই দেশের সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
দেশে ফেরার আগে প্রধান উপদেষ্টাকে বিমানবন্দরে বিদায় জানান মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন ইসমাইল। কুয়ালালামপুর ছাড়ার আগে প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম তাকে মোবাইলে ফোন করে জানান যে, তারা দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের বিষয়গুলো নিয়ে মন্ত্রিসভায় আলোচনা করবেন।
সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন ও অন্যান্য কর্মসূচি
এই সফরের একটি উল্লেখযোগ্য দিক ছিল ইউনিভার্সিটি কেবাংসান মালয়েশিয়া থেকে প্রফেসর ইউনূসের সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ। বুধবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়টির সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সামাজিক ব্যবসায় তার অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এই ডিগ্রি প্রদান করা হয়। ইউনিভার্সিটি কেবাংসান মালয়েশিয়ার চ্যান্সেলর তুয়াঙ্কু মুহরিজ ইবনে আলমারহুম তুয়ানকু মুনাওইর তার হাতে এই সম্মাননা তুলে দেন।
এছাড়াও, তিন দিনের এই সফরে প্রধান উপদেষ্টা মালয়েশিয়ার মন্ত্রী, শীর্ষস্থানীয় শিল্পপতি এবং বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তিনি একটি ব্যবসায়িক ফোরামে যোগ দেন এবং সেখানে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গেও মতবিনিময় করেন।
এই সফরে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী এবং বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন।