আজকাল একটা জিনিস খুবই প্রচলিত—যা-ই একটু আলাদা, সেটাই মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়। কিন্তু ভাইরাল হওয়া সবসময় ভালো ফল বয়ে আনে না, বরং অনেক সময় মানুষের জীবনে বড় ক্ষতি ডেকে আনে।
ঢাকার এক হোটেল ব্যবসায়ীর কথা বলি। তিনি ছোট্ট একটা ভাতের হোটেল চালান রাজধানী ঢাকার আগারগাও। যিনি কিছুদিন আগে ব্যপক ভাইরাল হয়ে যান।
উনার হোটেলের বিশেষত্ব হচ্ছে- হোটেলে তিনি ছাড়া আর কেউ নেই, কোনো স্টাফও না। মানুষ এসে নিজে ভাত-মাংস নেন, খাওয়া হয়ে গেলে এক পাশে রাখা ডিব্বায় টাকা রেখে চলে যান। উনি কারো টাকা গুনে দেখেন না—পুরো ব্যাপারটাই বিশ্বাসের ওপর দাঁড়িয়ে।
একদিন একটি টিভি চ্যানেল তাকে নিয়ে সুন্দর একটা রিপোর্ট করে। ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে গেল। এরপর ইউটিউবার, টিকটকার, আর অন্যান্য মিডিয়া সবাই এসে তার ভিডিও বানাতে লাগল। প্রথমে মনে হচ্ছিল—এ তো ভালো ব্যাপার! কিন্তু এখানেই বিপদের শুরু।
ভাইরাল হওয়ার কিছুদিন পর হঠাৎ পুলিশ এসে জানালো—তার হোটেল ভেঙে ফেলতে হবে! আশেপাশের দোকানগুলো ঠিক আছে, কিন্তু শুধু তারটিই নাকি যাবে। এর মধ্যে কিছু লোক এসে নানাভাবে চাপ দিতে শুরু করল—সম্ভবত চাঁদা দাবিও করেছে। এখন তিনি সন্ধ্যার পর দোকান না চালিয়ে বাসায় চলে যান, কারণ ভয়—কোথাও তুলে নিয়ে যাবে না তো!
ভদ্রলোক কাঁদতে কাঁদতে বলেন,
“আমি তো কাউকে বলিনি আমাকে নিয়ে ভিডিও বানাতে। আপনারা আমাকে মাফ করেন। আমি যদি ভুলে কিছু বলে থাকি তার জন্যও ক্ষমা করেন।”
এখন তার ব্যবসা ও শান্তি—দুটোই ঝুঁকিতে।