বাংলাদেশের সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর যুক্তরাজ্যে থাকা শতাধিক প্রপার্টিজ—যেগুলোর মূল্য প্রায় £185 মিলিয়ন—অধিকাংশ ফ্রিজড হয়েছে, এবং Grant Thornton-কে ওই সম্পত্তিগুলোর প্রশাসনিক প্রক্রিয়ায় দায়িত্বরত করা হয়েছে। দেশটির National Crime Agency (NCA) সম্প্রতি ৩৪২টি সম্পত্তিতে হাই কোর্টের ফ্রিজিং অর্ডার জারি করেছে, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গৃহ থেকে ফ্ল্যাট ব্লকের লন্ডনের প্রধান এলাকায় অবস্থিত বিলাসবহুল সম্পত্তি পর্যন্ত বিস্তৃত।
ঋণদাতাদের চাপ ও বিপুল পরিমাণ আদায়ের চাহিদা
এই সম্পত্তিগুলো থেকে প্রাপ্ত অর্থের মাধ্যমে সাইফুজ্জামানের $350 মিলিয়ন (£260 মিলিয়ন) ঋণ পরিশোধের আশা রয়েছে। ঋণদাতাদের তালিকায় রয়েছে সিঙ্গাপুরভিত্তিক DBS Bank, British Arab Commercial Bank, এবং ঢাকায় ভিত্তিক United Commercial Bank (UCB)-সহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান।
ব্যাপক অনুসন্ধান: এলিটদের সম্পদ চক্রে ইঙ্গিত স্বচ্ছতা বাড়ানোর
The Guardian এবং Transparency International-এর অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, সাইফুজ্জামান মাত্র এক উদাহরণ। আওয়ামী লীগের আশেপাশে থাকা শক্তিশালী রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী পরিবারের অনেকেই যুক্তরাজ্যে বিপুল সম্পত্তি অর্জন করেছেন এবং এখনও চলছে অনিয়ন্ত্রিত লেনদেন, যেগুলো অনুসন্ধানের আওতায়।
Al Jazeera-এর আবেদনিক তদন্ত “The Minister’s Millions”–এ তদন্তে দেখা গেছে, সাইফুজ্জামান $675 মিলিয়ন মূল্যের সম্পদকে নিয়ন্ত্রণ করেন—যুক্তরাষ্ট্র, তুর্কি ক্ষমতাসীন রাজনীতির দখলে থাকা অংশ নয়, বরং ইউকে, নিউ ইয়র্ক ও দুবাইতে। তবে তার আয় বিবৃতিতে বিদেশি সম্পদ বা আয়ের কোনো উল্লেখ নেই—যা প্রশ্ন তোলে তার সম্পদের বৈধতা সম্পর্কে