বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে ৮টি চুক্তি: দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে নতুন মাত্রা

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মালয়েশিয়া সফরের প্রথম দিনে দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা বাড়ানোর লক্ষ্যে মোট আটটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং তিনটি নোট অব এক্সচেঞ্জ রয়েছে। এই চুক্তিগুলোর মাধ্যমে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নতুন মাত্রা পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

চুক্তি স্বাক্ষর ও প্রধান ক্ষেত্রসমূহ

মালয়েশিয়ার প্রশাসনিক রাজধানী পুত্রজায়ায় দেশটির প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের উপস্থিতিতে এই চুক্তিগুলো সই হয়। তিনটি নোট অব এক্সচেঞ্জের বিষয়বস্তু হলো উচ্চশিক্ষা, কূটনীতিকদের প্রশিক্ষণ এবং হালাল ইকোসিস্টেম। বাংলাদেশের পক্ষে উচ্চশিক্ষার চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, এবং কূটনীতিকদের প্রশিক্ষণের চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন

এছাড়াও, পাঁচটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, এলএনজি ও জ্বালানি, গবেষণা সহযোগিতা এবং দুটি ব্যবসায়িক সহযোগিতার বিষয়ে। এর মধ্যে প্রতিরক্ষা এবং জ্বালানি খাতে চুক্তিগুলো দুই দেশের কৌশলগত ও অর্থনৈতিক সম্পর্ককে শক্তিশালী করবে।

উচ্চ পর্যায়ের সফর ও ভবিষ্যৎ প্রত্যাশা

ড. মুহাম্মদ ইউনূস কুয়ালালামপুরে পৌঁছানোর পর তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়। প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম তাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা এবং গার্ড অব অনার প্রদান করেন। এরপর দুই নেতার মধ্যে একটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

ড. ইউনূসের এই তিন দিনের সফরে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গেও মতবিনিময়ের কথা রয়েছে। এই সফর শেষে তার বুধবার দেশে ফেরার কথা আছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই চুক্তিগুলোর মাধ্যমে মালয়েশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং কৌশলগত সহযোগিতা আরও বৃদ্ধি পাবে, যা দুই দেশের জন্যই লাভজনক হবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top