কক্সবাজারের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সংলগ্ন মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রবিবার মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত তীব্র গোলাগুলির শব্দ শুনেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। দীর্ঘদিন শান্ত থাকার পর হঠাৎ এই সংঘাতের আভাসে বাংলাদেশি সীমান্তরক্ষীরা সতর্ক অবস্থান নিয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা ধারণা করছেন আরাকান আর্মি ও অন্য বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরসা/আরএসও-র মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। গোলাগুলি হয়েছে বাংলাদেশ সীমান্ত পিলার ৩৪-৩৫ থেকে ৩০০-৩৩০ মিটার ভেতরে মিয়ানমার সীমান্তে। বিজিবি সদস্যরা সর্বোচ্চ সতর্কতায় রয়েছে তবে বাংলাদেশি এলাকায় কোনো গোলাবর্ষণ হয়নি বলে নিশ্চিত করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের কক্সবাজার ৩৪ ব্যাটালিয়নের কমান্ডার লে. কর্নেল এস.এম. খায়রুল আলম।
আরাকান আর্মি গত ডিসেম্বরে মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তের ২৭১ কিলোমিটার নিজেদের দখলে নেওয়ার দাবি করেছিল। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে চলা এই সংঘাতের মধ্যেই গত পাঁচ মাস তুলনামূলক শান্তি থাকার পর নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। তুমব্রু সীমান্তের অদূরে আরাকান আর্মির দুটি ক্যাম্প রয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
হঠাৎ গোলাগুলির শব্দে সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ বলছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং কোনো রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা চোখে পড়েনি। গত কয়েক মাসে মিয়ানমারে জান্তাবিরোধী সংঘাত তীব্র হওয়ায় বাংলাদেশ সীমান্তে বারবার উত্তেজনা তৈরি হচ্ছে। নিরাপত্তা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে চলমান সংঘাতের প্রভাব যেন বাংলাদেশে না পড়ে সে বিষয়ে বিশেষ নজরদারি চলছে।
সূত্র- বাংলাট্রিবিউন