ইয়েমেনের হুথিদের ড্রোন হামলা: ইসরাইলের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা লক্ষ্য

ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠী আনসারুল্লাহ (হুথি) ইসরাইলের প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ তিনটি কৌশলগত স্থাপনায় ড্রোন হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছে। শনিবার (৯ আগস্ট) গোষ্ঠীর সামরিক মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি এ অভিযানের সফলতা নিশ্চিত করেছেন। তবে ইসরাইলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, তারা ইয়েমেন থেকে ছোড়া দুটি ড্রোন মাঝপথে ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে।

হামলার বিবরণ:
– **লক্ষ্যস্থল: তেল আবিবের বেন গুরিওন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, বেয়ারশেবা ও আশকেলনের কৌশলগত স্থাপনা
– **ব্যবহৃত অস্ত্র: তিনটি সামরিক ড্রোন
– **হুথিদের দাবি: “ফিলিস্তিনি জনগণের সমর্থনে ও গাজায় ইসরাইলি গণহত্যার প্রতিবাদে এই অভিযান চালানো হয়েছে”

হুথি মুখপাত্রের হুঁশিয়ারি:
ইয়াহিয়া সারি ইসরাইলি বন্দরে কার্যরত সব কোম্পানিকে সতর্ক করে বলেন, “এই বন্দরগুলোর সাথে যে কোনো ধরনের বাণিজ্যিক সম্পর্ক অবিলম্বে বন্ধ না করলে সংশ্লিষ্ট জাহাজগুলোও হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হবে।”

ইসরাইলি প্রতিক্রিয়া:
ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, তারা ইয়েমেন থেকে ছোড়া বেশিরভাগ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র আটকাতে সক্ষম হয়েছে। দেশটির বিমানবাহিনী লোহিত সাগর ও ইয়েমেনি আকাশসীমায় নজরদারি জোরদার করেছে।

প্রেক্ষাপট:
গাজায় ইসরাইলি সামরিক অভিযানের প্রতিক্রিয়ায় হুথিরা ইসরাইল ও ইসরাইলি জাহাজ লক্ষ্য করে একাধিক হামলা চালিয়েছে। এই সংঘাতের জেরে আন্তর্জাতিক নৌপথে নিরাপত্তা ঝুঁকি বেড়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন।

উৎস: ইরানের আধা-সরকারি সংবাদ সংস্থা মেহর নিউজের প্রতিবেদন ও হুথিদের সরকারি বিবৃতি।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top