নির্বাচন কমিশন (ইসি) সম্প্রতি দেশের ৩৯টি সংসদীয় আসনের সীমানায় পরিবর্তনের প্রস্তাবনা চূড়ান্ত আকারে উপস্থাপন করেছে যা খসড়া তালিকা আকারে গেজেটে প্রকাশিত হয়েছে। তবে বিশ্লেষকদের মতে, বাস্তবে ৪০টি আসনের সীমানায় সামান্য পরিবর্তন রয়েছে।
কী পরিবর্তন হলো?
- জেলা ভিত্তিক পরিবর্তন: ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, কুমিল্লা, সিলেট, সিরাজগঞ্জ, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা সহ মোট ১৪ জেলার ৪০টি আসনের সীমানায় প্রশাসনিক ইউনিট অখণ্ড রাখার চেষ্টা সত্ত্বেও খানিকটা বদল আনা হয়েছে। গত তুলনায় গাজীপুরে এক আসন বৃদ্ধি পেয়েছে, বাগেরহাটে এক আসন কমেছে ।
- আগামী কার্যক্রম: এ খসড়ার বিরুদ্ধে আগামী ১০ আগস্ট পর্যন্ত দাবী, অভিযোগ বা আপত্তি জানানো যাবে। সংশ্লিষ্ট আবেদনগুলো বিবেচনা করে নির্বাচন কমিশন চূড়ান্ত সীমানার তালিকা ঘোষণা করবে।
কোন এলাকায় সামঞ্জস্য করণ করা হয়েছে?
নির্দিষ্টভাবে যেসব আসনের সীমানায় পরিবর্তন আনা হয়েছে:
- পঞ্চগড়-১ ও ২, রংপুর-৩, সিরাজগঞ্জ-১ ও ২
- বাগেরহাট-২ ও ৩, সাতক্ষীরা-৩ ও ৪
- শরীয়তপুর-২ ও ৩
- ঢাকার ২, ৩, ৭, ১০, ১৪ ও ১৯
- গাজীপুরে ১, ২, ৩, ৫ ও ৬
- নারায়ণগঞ্জ-৩, ৪ ও ৫
- সিলেট-১ ও ৩
- ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও ৩
- কুমিল্লা-১, ২, ৯, ১০ ও ১১
- নোয়াখালী-১, ২, ৪ ও ৫
- চট্টগ্রাম-৭ ও ৮
ভিত্তি ও মানদণ্ড
ইসি জানিয়েছে, এসব পরিবর্তন আসতে ১২টি মানদণ্ড বিবেচনায় রাখা হয়েছে—যেমন জনগণসংখ্যা, ভোটারের হিসাব, উপজেলা ও থানা ইউনিটের অখণ্ডতা ও প্রশাসনিক সীমার সঙ্গতি। গড় ভোটার নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ লাখ ২০ হাজার ৫০০ হিসেবে, যার ভিত্তিতে সামঞ্জস্য কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে।
পরবর্তী ধাপ
- ইসির প্রধান ও সীমা নির্ধারণ কমিটির প্রধান মো. আনোয়ারুল ইসলাম জানান, কারিগরি কমিটি ৩৯টি আসনের পরিবর্তনের প্রস্তাব দিয়েও পরিসংখ্যান অনুযায়ী ৪০টি আসনের সীমা সংশোধন করেছে।
-
আগামী সময়ে খসড়া তালিকার ওপর আদালত, রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন অংশগ্রহণমূলক স্টেকহোল্ডারদের মতামত নেওয়া হবে। চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশের আগে এসব মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া হবে।