সোনাইমুড়ীর বাংলাবাজারের ঐতিহ্যবাহী খাল অস্তিত্ব সংকটে: জলাবদ্ধতা নিরসনে দ্রুত পুনরুদ্ধারের দাবি

নোয়াখালী, সোনাইমুড়ী: নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার বাংলাবাজারের ওপর দিয়ে পূর্ব-পশ্চিমে লম্বালম্বিভাবে প্রবাহিত সিএন্ডবি রোডের দক্ষিণ পাশের জনগুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহ্যবাহী একটি খাল এখন অস্তিত্ব সংকটে। খালটি উদ্ধারের দাবি এখন স্থানীয় জনগণের গণদাবিতে পরিণত হয়েছে, কারণ এটি বাজারের জলাবদ্ধতা নিরসনে অপরিহার্য। পাঁচবাড়ীয়া ব্রীজ থেকে কেগনা ব্রীজ পর্যন্ত বিস্তৃত এই সরকারি খালটি ভূমি দস্যুদের কবলে পড়ে ইতোমধ্যে ৮০% অস্তিত্বহীন হয়ে পড়েছে, যা দ্রুত দখলমুক্ত করা না হলে সম্পূর্ণরূপে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

বাজার ও আশপাশের এলাকায় জলাবদ্ধতার মূল কারণ

বাংলাবাজার একটি জনবহুল ও ব্যস্ত এলাকা যা পাঁচবাড়ীয়া, দেবপুর, ছোট কেগনা, বড় কেগনা, হাটগাঁও গ্রামের কেন্দ্রিয় বাজার। বাজারের ওপরের এই খালটি একসময় প্রাকৃতিক নিষ্কাশন ব্যবস্থা হিসেবে কাজ করত, যা বৃষ্টির পানি ও দৈনন্দিন বর্জ্য অপসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখত। বর্তমানে খালটি ভরাট হয়ে যাওয়ায় এবং অবৈধ দখলে থাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই বাজার এলাকায় ও পাশ্ববর্তী গ্রামে জলবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে, যা ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। যদিও বাজারের দক্ষিণে খালটিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে, তবু বাজার এলাকা ও পাশ্ববর্তী গ্রামের মূল জলাবদ্ধতার জন্য উপরের এই পুরোনো খালটির পুনরুদ্ধারই এখন সবচেয়ে জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ভূমি দস্যুদের কবলে খাল, দ্রুত পদক্ষেপের আহ্বান

স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘ দিন ধরে একটি স্বার্থান্বেষী মহল এবং ভূমি দস্যুরা এই সরকারি খালটি দখল করে কিছু জায়গায় স্থাপনা নির্মাণ এবং কিছু জায়গায় বাড়ির রাস্থা করেছে বা ভরাট করে ফেলেছে। এর ফলে খালের স্বাভাবিক প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে এবং এটি দ্রুত তার ঐতিহ্য ও কার্যকারিতা হারাচ্ছে। পাঁচবাড়ীয়া ব্রীজ থেকে কেগনা ব্রীজ পর্যন্ত প্রায় বিলীন হয়ে যাওয়া এই খালটি পুনরুদ্ধার করা না গেলে বাংলাবাজারের জলাবদ্ধতা সমস্যা আরও প্রকট আকার ধারণ করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এলাকাবাসী ও সচেতন মহল সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রুত এই খালটি ভূমি দস্যুদের কবল থেকে উদ্ধার করে এর স্বাভাবিক প্রবাহ নিশ্চিত করার জোর দাবি জানিয়েছে। তারা মনে করেন, পরিবেশ রক্ষা ও জনদুর্ভোগ কমাতে এই ঐতিহাসিক খালটি বাঁচানো অত্যন্ত জরুরি।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top