প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে, এই কমিশন ২১ জুলাই মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার মর্মান্তিক ঘটনার কারণ ও দায়দায়িত্ব উদ্ঘাটন করবে। এছাড়াও, এই দুর্ঘটনায় স্কুলের ছাত্র, শিক্ষক ও অন্যান্য ব্যক্তির জীবনহানি ও গুরুতর আহত হওয়ার বিষয়সহ সব ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ এবং ঘটনা–সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয় চিহ্নিত করবে।
কমিশনের কার্যপরিধির মধ্যে রয়েছে: বিমানবন্দরের নিকটবর্তী এলাকায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণ এবং ফ্লাইং জোনের অবস্থানগত সঠিকতা ও নিরাপদ পরিচালন বিষয়ে সংশ্লিষ্ট আইনগত ও প্রশাসনিক বিষয়গুলো পরীক্ষা করা; দুর্ঘটনা প্রতিরোধ, প্রশিক্ষণ বিমান উড্ডয়ন, ফ্লাইং জোনে ভবন নির্মাণ ও ভয়াবহ দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ সংক্রান্ত সুপারিশ প্রদান করা; এ ধরনের মর্মান্তিক ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের সুপারিশ প্রদান করা এবং এই উদ্দেশ্যে সংশ্লিষ্ট যেকোনো কার্যসম্পাদন।
কার্যপরিধিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, তদন্ত কমিশন বাংলাদেশের যেকোনো স্থান পরিদর্শন এবং যেকোনো ব্যক্তিকে কমিশনে তলব ও জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে। কমিশন, দ্য কমিশনস অব ইনকোয়াইরি অ্যাক্ট, ১৯৫৬ অনুসারে তদন্তের কাজ শেষ করে এই প্রজ্ঞাপন জারির তারিখ থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে সরকারের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবে। ঢাকার বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় এই তদন্ত কমিশনকে সাচিবিক সহায়তা দেবে।