“আমরা মরছি”: বিশ্বব্যাপী নিরবতায় গাজায় ক্ষুধা আর মৃত্যু ক্রমেই বাড়ছে

গাজার পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। ইসরায়েলি অবরোধ, টানা সংঘর্ষ ও মানবিক সহায়তার অভাবে ফিলিস্তিনিরা চরম দুর্দশার মুখোমুখি। বিশেষ করে গাজায় খাদ্যাভাব এখন এক মৃত্যুযন্ত্রণার রূপ নিয়েছে। হাজার হাজার মানুষ না খেয়ে দিন কাটাচ্ছেন, অনেক পরিবার খাবারের আশায় দিনের পর দিন মানবিক সহায়তার লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও খালি হাতে ফিরছেন।

গাজা সিটি ও আশপাশের এলাকায় শিশুরা অপুষ্টিতে ভুগছে, অনেকের শরীরে হাড়গোড় বেরিয়ে এসেছে। মা-বাবারা কিছুই করতে পারছেন না। একজন গাজাবাসী বলেন, “আমরা ধীরে ধীরে মারা যাচ্ছি। বিশ্ব আমাদের এই মৃত্যু দেখতে পেলেও কিছু করছে না।”

জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা খাদ্য সরবরাহ বন্ধ বা সীমিত করে ফেলেছে নিরাপত্তার অভাবে। হাসপাতালগুলোতেও নেই পর্যাপ্ত ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রী। এতে আহত ও অসুস্থ ব্যক্তিদের চিকিৎসা করা যাচ্ছে না, ফলে প্রাণহানি বেড়ে যাচ্ছে।

গাজার পরিস্থিতিকে ‘মানবিক বিপর্যয়’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে রেড ক্রসসহ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো। তারা অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং মানবিক সহায়তা প্রবেশ নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে। তবে রাজনৈতিক অচলাবস্থা ও নিরাপত্তাহীনতার কারণে ত্রাণ প্রবেশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

ইতোমধ্যে কয়েকটি পরিবার গাজা থেকে বাইরে যাওয়ার চেষ্টা করলেও সীমান্তে কড়াকড়ি থাকায় তারা আটকা পড়ে আছেন। কেউ কেউ বলেন, “আমরা শুধু বাঁচতে চাই। খাবার চাই, পানি চাই, নিরাপত্তা চাই। কিন্তু আমাদের কণ্ঠ কেউ শুনছে না।”

এই মুহূর্তে গাজাবাসীদের পাশে দাঁড়ানো ও আন্তর্জাতিক উদ্যোগ জোরদার করার দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি দ্রুত ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, গাজায় মানবিক বিপর্যয় চরম আকার ধারণ করবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top