বোলারদের দাপট: পাকিস্তানকে অল্প রানে গুটিয়ে দিল বাংলাদেশ
টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানের ইনিংস ১৯.৩ ওভারে মাত্র ১১০ রানে গুটিয়ে যায়। পাকিস্তানের পক্ষে ওপেনার ফখর জামান সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন, আর আব্বাস আফ্রিদি যোগ করেন ২২ রান। বাংলাদেশের বোলাররা এদিন ছিলেন অপ্রতিরোধ্য। তাসকিন আহমেদ ৩.৩ ওভারে ২২ রান দিয়ে ৩টি উইকেট শিকার করেন। তবে সবচেয়ে উজ্জ্বল ছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান, যিনি ৪ ওভারে মাত্র ৬ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়ে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশি বোলার হিসেবে এক নতুন রেকর্ড গড়েন।
পারভেজ ইমনের ব্যাটে স্বস্তির জয়
১১২ রানের সহজ টার্গেট তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ অবশ্য শুরুতেই কিছুটা বিপাকে পড়ে। ইনিংসের প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় টাইগাররা। ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম (১ রান) এবং অধিনায়ক লিটন কুমার দাস (১ রান) দ্রুত ফিরে যান পাকিস্তানি বাঁহাতি পেসার সালাম মিরাজের শিকার হয়ে। মাত্র ২.২ ওভারে ৭ রানে ২ উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে বাংলাদেশ।
তবে এরপরই দলের হাল ধরেন তাওহিদ হৃদয় এবং ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন। এই জুটি ৬২ বলে ৭৩ রানের এক দারুণ পার্টনারশিপ গড়ে দলকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে যায়। তাওহিদ হৃদয় ৩৭ বলে দুই চার ও দুই ছক্কায় ৩৬ রান করে আউট হন। এরপর জাকের আলি অনিককে সঙ্গে নিয়ে পারভেজ হোসেন ইমন দলের জয় নিশ্চিত করেন। ইনিংস ওপেন করতে নেমে তিনি ৩৯ বল মোকাবেলা করে ৩টি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে অপরাজিত ৫৬ রানের এক অনবদ্য ইনিংস খেলেন। তার এই দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ ২৮ বল হাতে রেখেই ৭ উইকেটের এক সহজ জয় তুলে নেয়।
এই জয়ের আগে সবশেষ ২০১৬ সালে মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামেই এশিয়া কাপে পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। দীর্ঘ ৯ বছর পর এই জয় নিঃসন্দেহে টাইগার শিবিরে নতুন আত্মবিশ্বাস যোগাবে।