জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশে হামলা ও সংঘর্ষের পর গোপালগঞ্জে ২২ ঘণ্টার কারফিউ জারি করা হয়েছে। বুধবার রাত ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এই কারফিউ বলবৎ থাকবে।
গতকাল বুধবার এনসিপির সমাবেশে একাধিক হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৪ জন নিহত এবং ৫০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এই হামলায় জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কারফিউয়ের মধ্যেও কিছু মানুষ জরুরি প্রয়োজনে ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন। শহরের প্রধান সড়কগুলোতে পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তেমন উপস্থিতি দেখা যায়নি। তবে গোপালগঞ্জ পৌরসভার সামনে কয়েকজন গ্রাম পুলিশ ও পৌর কর্মীদের দেখা গেছে।
শহরের অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ থাকলেও কিছু চায়ের দোকান ও রেস্তোরাঁ খোলা ছিল। কাঁচাবাজার এলাকায় কিছু ফলের দোকানেও ক্রেতাদের ভিড় দেখা গেছে। কারফিউয়ের কারণে স্থানীয় বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
উল্লেখ্য, গতকালের হামলার পর এনসিপির নেতারা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আশ্রয় নেন এবং পরবর্তীতে সেনাবাহিনীর সহায়তায় গোপালগঞ্জ ত্যাগ করেন। ঘটনাটি নিয়ন্ত্রণে আনতে জেলা প্রশাসন প্রথমে ১৪৪ ধারা জারি করে এবং পরে এই কারফিউ ঘোষণা করে।
স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পরিস্থিতি শান্ত হলে কারফিউ প্রত্যাহার করা হবে। এদিকে নিহত ও আহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য এনসিপি নেতৃত্বের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে।