পুরান ঢাকার আলোচিত ভাঙারি ব্যবসায়ী মো. সোহাগ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অন্যতম আসামি মোহাম্মদ নান্নুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। সোমবার (১৪ জুলাই) দিবাগত রাত ১টার দিকে নারায়ণগঞ্জের বন্দর এলাকা থেকে র্যাব-১১-এর একটি দল তাঁকে আটক করে।
এর আগে গত ৯ জুলাই বিকেলে রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালে বর্বরোচিতভাবে হত্যা করা হয় সোহাগকে। হাসপাতালের ৩ নম্বর ফটকের সামনে তাঁকে কংক্রিটের বোল্ডার ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। ঘটনাটি প্রত্যক্ষদর্শীদের মোবাইলে ধারণ করা ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় ওঠে।
নিহত সোহাগ কেরানীগঞ্জের পূর্ব নামাবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি স্থানীয় যুবদলের কর্মী ছিলেন। সংসারে স্ত্রী, ১৪ বছরের মেয়ে ও ১১ বছরের এক ছেলে রয়েছে।
ঘটনার পরদিন নিহত সোহাগের বোন মঞ্জুয়ারা বেগম বাদী হয়ে লালবাগ থানায় ১৯ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, ব্যবসা ও স্থানীয় আধিপত্য নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আসামিদের সঙ্গে বিরোধে ছিলেন সোহাগ। এর জেরে গত ৯ জুলাই বিকেলে সশস্ত্র অবস্থায় আসামিরা সোহাগের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ঘেরাও করে তাঁকে টেনেহিঁচড়ে বের করে মারধর করতে করতে হাসপাতাল চত্বরে নিয়ে যায়। সেখানে তাঁকে নির্মমভাবে পেটানো হয় এবং একপর্যায়ে বিবস্ত্র করে রাস্তায় ফেলে রেখে চলে যায় হামলাকারীরা।
র্যাব সূত্রে জানা গেছে, মামলার এজাহারভুক্ত আসামিদের মধ্যে এখন পর্যন্ত আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁরা হলেন– মাহমুদুল হাসান মহিন, তারেক রহমান রবিন, মনির (লম্বা মনির নামে পরিচিত), আলমগীর, টিটন গাজী, রাজীব ব্যাপারী, সজীব ব্যাপারী ও সর্বশেষ মোহাম্মদ নান্নু।
গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং অন্যান্য পলাতক আসামিদের ধরতে র্যাবের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।