রাঙ্গিরি দাম্বুলা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে এক দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়ে ৮৩ রানের বিশাল জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। এই জয়ের মধ্য দিয়ে সিরিজে ১-১ সমতা ফিরিয়ে এনেছে টাইগাররা, যা তাদের আত্মবিশ্বাসকে অনেক বাড়িয়ে দেবে।
টসে জিতে শ্রীলঙ্কা প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিলেও, সেই সিদ্ধান্ত বুমেরাং হয়ে দাঁড়ায়। বাংলাদেশ নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৭ রানের formidable (দুর্দান্ত) সংগ্রহ দাঁড় করায়।
বাংলাদেশের ব্যাটিং ঝলক:
শুরুতেই ৭ রানে দুই ওপেনার তানজিদ হাসান ও পারভেজ হোসেন ইমনকে হারালেও (নুয়ান থুশারা ও বিনুরা ফার্নান্দোর কল্যাণে), এরপর দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। দলের অধিনায়ক লিটন দাস সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন, ৫০ বলে দুর্দান্ত ৭৬ রানের এক ঝলমলে ইনিংস খেলেন। তৃতীয় উইকেটে তাওহিদ হৃদয়ের সঙ্গে তার ৬৯ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি দলের ভিত গড়ে দেয়।
শ্রীলঙ্কার ব্যাটিংয়ে ধস:
১৭৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শ্রীলঙ্কা শুরু থেকেই চাপে পড়ে যায়। মাত্র ৯৪ রানেই গুটিয়ে যায় স্বাগতিকরা, ইনিংস শেষ হয় ১৭.২ ওভারেই। পাথুম নিসাঙ্কা ৩২ রান করে ভালো শুরু করলেও, কুশল মেন্ডিসের রান আউটের মাধ্যমে টপ অর্ডারে নাটকীয় ধস নামে। শ্রীলঙ্কা মাত্র ৩০ রানেই প্রথম ৪ উইকেট হারায় এবং সপ্তম উইকেট পড়ার সময় তাদের রান ছিল মাত্র ৭৩।
টাইগার বোলারদের দাপট:
বাংলাদেশের বোলাররা শুরু থেকেই শ্রীলঙ্কার উপর নিরন্তর চাপ বজায় রেখেছিল। তারা শ্রীলঙ্কার ভুলগুলোকে কাজে লাগিয়ে একটি ব্যাপক বিজয় নিশ্চিত করে। শ্রীলঙ্কার কোনো ব্যাটসম্যানই উইকেটে থিতু হতে পারেননি। বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রিত বোলিং ও ফিল্ডিংয়ের সামনে স্বাগতিকরা দিশেহারা হয়ে পড়ে।
মনোরম দাম্বুলায় ম্যাচটি দেখতে প্রচুর দর্শক সমাগম হয়েছিল, কিন্তু বাংলাদেশের দাপুটে পারফরম্যান্সে স্বাগতিক ভক্তরা হতাশ হয়েই মাঠ ছাড়েন। এই জয় প্রমাণ করে দিয়েছে যে, টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটেও বাংলাদেশ যেকোনো প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে নিজেদের সক্ষমতা প্রমাণ করতে পারে। এই সিরিজ জয়ের আশা এখন টাইগারদের কাছে আরও উজ্জ্বল।