ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে চলমান সংঘাত গাজায় ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে। ইসরায়েলি বাহিনীর অবিরাম হামলায় মৃতের সংখ্যা ৫৮ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। সম্প্রতি গাজা সিটি’র একটি ব্যস্ত বাজার এবং নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরের একটি পানি বিতরণ কেন্দ্রে ইসরায়েলি বোমা হামলায় অন্তত ৯৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে বাজার হামলায় ১৭ জন এবং পানি বিতরণ কেন্দ্রে ১০ জন (সাত শিশুসহ) রয়েছেন।মানবিক পরিস্থিতি ও জাতিসংঘের সতর্কতা:
গাজায় মানবিক পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। জ্বালানি সংকটের কারণে জাতিসংঘের সংস্থাগুলো তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে, যা হাসপাতাল, পানি সরবরাহ ব্যবস্থা এবং স্যানিটেশন ব্যবস্থায় মারাত্মক প্রভাব ফেলবে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই সংঘাতে নিহত ৫৮ হাজারেরও বেশি মানুষের অর্ধেকের বেশিই নারী ও শিশু। এছাড়া, ২১ লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত জুন মাসে ৫,৮০০ জনের বেশি শিশুর অপুষ্টি ধরা পড়েছে।
যুদ্ধবিরতি আলোচনায় অচলাবস্থা:
দোহায় চলমান যুদ্ধবিরতি আলোচনা স্থবির হয়ে পড়েছে। উভয় পক্ষই আলোচনা বিলম্বের জন্য একে অপরকে দায়ী করছে। এই অচলাবস্থা গাজার মানুষের দুর্ভোগ আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টার বিরুদ্ধে তদন্ত:
এদিকে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর উপদেষ্টা জোনাতান উরিচের বিরুদ্ধে গোপন সামরিক তথ্য ফাঁসের অভিযোগে তদন্ত শুরু হয়েছে। এই ঘটনা ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
গাজার এই ভয়াবহ পরিস্থিতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে দ্রুত একটি স্থায়ী সমাধান এবং মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করার জন্য জরুরি পদক্ষেপের আহ্বান জানাচ্ছে। সূত্র- আলজাজিরা