ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে যুক্তরাজ্যে এসেছেন, যা ব্রেক্সিট-পরবর্তী সময়ে কোনো ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত রাষ্ট্রপ্রধানের প্রথম যুক্তরাজ্য সফর। এই সফরে তিনি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি এবং ইউক্রেনকে রক্ষায় ব্রিটিশ সমর্থন কামনা করেছেন।
ব্রিটিশ পার্লামেন্টের উভয় কক্ষে দেওয়া বক্তব্যে ম্যাক্রোঁ ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলার ওপর জোর দেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের উপর “অতিরিক্ত নির্ভরতা” কমানোর জন্য উভয় দেশকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।
কিং চার্লস তৃতীয়ের আমন্ত্রণে এই সফরটি প্রতিরক্ষা, অভিবাসন, জলবায়ু এবং বাণিজ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইউরোপকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে আয়োজিত হয়েছে। ম্যাক্রোঁ গাজায় একটি নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতির পক্ষে কথা বলেন এবং ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়াকেই “শান্তির একমাত্র পথ” হিসেবে অভিহিত করেন।
কিং চার্লস তৃতীয় ম্যাক্রোঁর সম্মানে একটি ভোজসভার আয়োজন করেন, যেখানে তিনি দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেন এবং “আন্তরিক বোঝাপড়া” (entente cordiale) থেকে “বন্ধুত্বপূর্ণ বোঝাপড়া” (entente amicale)-তে উন্নীত করার কথা বলেন।
এই সফরে পূর্ব ইংল্যান্ডে একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে ফরাসি পারমাণবিক শক্তি সংস্থা ইডিএফ (EDF) এর ১.১ বিলিয়ন পাউন্ড বিনিয়োগের ঘোষণা দেওয়া হয় এবং বায়েক্স টেপেস্ট্রি নিয়ে একটি সাংস্কৃতিক বিনিময়ের কথাও জানানো হয়। ম্যাক্রোঁ যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে দেখা করে অভিবাসন, প্রতিরক্ষা এবং বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা করবেন। এই আলোচনায় ইউক্রেনকে সমর্থন এবং ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে আশ্রয়প্রার্থীদের বিষয়টিও গুরুত্ব পাবে। সূত্র- আলজাজিরা