২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মোট ১৯ লাখ ২৮ হাজার ৯৭০ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল। এই সংখ্যা গত ২০২৪ সালের তুলনায় প্রায় এক লাখ কম।
পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রীর সংখ্যা ছিল ৯ লাখ ৫২ হাজার ৩৮৯ জন এবং ছাত্রের সংখ্যা ছিল ৯ লাখ ৫১ হাজার ৬৯৭ জন।
পাসের হার:
- ছাত্রীদের পাসের হার ৭১.০৩ শতাংশ, যেখানে মোট ৬ লাখ ৭৬ হাজার ৪৪৫ জন ছাত্রী পাস করেছে।
- ছাত্রদের পাসের হার ৬৫.৮৮ শতাংশ, যেখানে মোট ৬ লাখ ২৬ হাজার ৯৮১ জন ছাত্র পাস করেছে।
জিপিএ-৫ প্রাপ্তি:
- জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৭৩ হাজার ৬১৬ জন ছাত্রী এবং ৬৫ হাজার ৪১৬ জন ছাত্র রয়েছে।
- এ বছর ছাত্রদের চেয়ে ৮ হাজার ২০০ জন বেশি ছাত্রী জিপিএ-৫ অর্জন করেছে, যা ফলাফলে ছাত্রীদের এগিয়ে থাকার প্রবণতাকেই তুলে ধরে।
বোর্ডভিত্তিক চিত্র
দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড ৭৭.৬৩ শতাংশ পাস নিয়ে শীর্ষে রয়েছে। অন্যদিকে, বরিশাল বোর্ডে পাসের হার সবচেয়ে কম, ৫৬.৩৮ শতাংশ। অন্যান্য বোর্ডের মধ্যে ঢাকা বোর্ডে ৬৭.৫১%, চট্টগ্রাম বোর্ডে ৭২.০৭% এবং কুমিল্লা বোর্ডে ৬৩.৬০% শিক্ষার্থী পাস করেছে।
মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ডের ফলাফল
মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দাখিল পরীক্ষায় পাসের হার ৬৮.০৯ শতাংশ, যেখানে মোট ৯ হাজার ৬৬ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৭৩.৬৩ শতাংশ।
পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ও ফল প্রকাশের প্রক্রিয়া
চলতি বছর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় মোট ১৯ লাখেরও বেশি পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এবার ফল প্রকাশে কোনো আনুষ্ঠানিক আয়োজন ছিল না; অনাড়ম্বরভাবে ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে।
ফল জানার পদ্ধতি ও পুনর্নিরীক্ষণ
শিক্ষার্থীরা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট (www.educationboardresults.gov.bd) এবং মোবাইল ফোনের এসএমএসের মাধ্যমে তাদের ফল জানতে পারছে। যারা ফলাফলে অসন্তুষ্ট, তারা আগামীকাল শুক্রবার (১১ জুলাই) থেকে আগামী ১৭ জুলাই পর্যন্ত ফল পুনর্নিরীক্ষণের জন্য আবেদন করতে পারবে। শুধুমাত্র টেলিটক সিম ব্যবহার করে এই আবেদন করা যাবে এবং প্রতিটি বিষয়ের জন্য ১৫০ টাকা ফি লাগবে।