আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সম্ভাব্য ভোটের হার নিয়ে একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম)। আজ সোমবার (৭ জুলাই) মহাখালীর ব্র্যাক ইন সেন্টারে ‘যুবসমাজের পরিবর্তন : চাকরি, শিক্ষায় এবং জুলাই আন্দোলনের পর বদলানো রাজনৈতিক দৃশ্যপটে চলার পথ’ শীর্ষক এই প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।
১৫ থেকে ৩৫ বছর বয়সী দুই হাজার তরুণের মতামতের ভিত্তিতে এই জরিপটি পরিচালিত হয়েছে। এতে অংশগ্রহণকারীদের অর্ধেক নারী ছিলেন, ৪০ শতাংশের শিক্ষাগত যোগ্যতা ছিল এসএসসির নিচে এবং ৬০ শতাংশের শিক্ষাগত যোগ্যতা ছিল এসএসসির ওপরে। চলতি বছরের ২০ মে থেকে ৩১ মে পর্যন্ত এই প্রতিবেদনের কাজ চলে। দেশের আটটি বিভাগের দুটি জেলা ও দুটি উপজেলা শহর ও গ্রামের তরুণদের মতামত এই গবেষণা প্রতিবেদনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
জরিপের প্রধান ফলাফল:
- ভোটের পূর্বাভাস: প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী নির্বাচনে বিএনপি ৩৯ শতাংশ ভোট পেতে পারে, যেখানে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ১৬ শতাংশ ভোট পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
- রাজনীতিতে তরুণদের অনীহা: জরিপে দেখা গেছে, ৮২.৭ শতাংশ তরুণ রাজনীতিতে অংশ নিতে আগ্রহী নন, যেখানে মাত্র ৩.২ শতাংশ তরুণ রাজনীতিতে অংশ নিতে ইচ্ছুক। রাজনীতিতে সহিংসতা থাকায় ৫৮.৭ শতাংশ তরুণ এতে অনাগ্রহী। এছাড়া, ৫৬.৪ শতাংশ তরুণ মনে করেন, রাজনীতিতে দুর্নীতি ও আদর্শের ঘাটতি রয়েছে।
- পেশাগত আগ্রহ: তরুণদের ৩৬.৯৯ শতাংশ সরকারি চাকরিতে আগ্রহী, আর ২৬.৪১ শতাংশ ব্যবসা করতে ইচ্ছুক। অন্যদিকে, ৪২.৩৪ শতাংশ তরুণ ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে অবগত নন।
- সংবাদ সূত্র ও আগ্রহ: ৩৯ শতাংশ তরুণ দেশের রাজনীতির খোঁজখবর রাখেন, আর ৪১.৩৯ শতাংশ তরুণ ভারত, পাকিস্তান ও মিয়ানমারের রাজনীতি নিয়ে আগ্রহী। ৮৭.৪ শতাংশ তরুণ দেশ ও বিদেশের খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে সংগ্রহ করেন। টেলিভিশন থেকে ৪৭.৭ শতাংশ এবং সংবাদপত্র থেকে ১৩ শতাংশ তরুণ খবর নেন।
- সংস্কারের প্রত্যাশা: ৫৬ শতাংশ তরুণ মনে করেন, সংস্কারের ফলে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবেশের উন্নতি হবে। তবে মাত্র ২.৩ শতাংশ তরুণ সংস্কার সম্পর্কে ভালোভাবে ওয়াকিবহাল। এছাড়া, ৯৪ শতাংশ তরুণ মনে করেন, শিক্ষাখাতে সংস্কার প্রয়োজন।