গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলায় অন্তত ৭২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে ৪৭ জনই গাজা সিটি ও উত্তর গাজার বিভিন্ন স্থানে প্রাণ হারিয়েছেন। আল জাজিরার সাংবাদিক মোয়াথ আল-খালাউত জানান, জেইতুন, সাবরা ও আল-জাওইয়া বাজারে হামলার পর আহতদের ভিড়ে আল-আহলি হাসপাতালের অবস্থা “বিষাদময়” হয়ে পড়েছে।
প্রধান ঘটনাসমূহ:
-
হাসপাতালে চিকিৎসা সংকট: শিশুসহ শতাধিক আহতকে মেঝেতে শুইয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে, ওষুধ ও শয্যার অভাবে হাসপাতাল বিপর্যস্ত।
-
মানবিক সহায়তা কেন্দ্রে হামলা: রাফাহর উত্তরে খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রের কাছে ইসরায়েলি গুলিতে আরও ৫ জন নিহত হয়েছেন।
-
সেনাবাহিনীর নির্দেশ: গাজা সিটির পূর্বাঞ্চলে ইসরায়েলি বিমান থেকে লিফলেট ফেলে বেসামরিক জনতাকে দক্ষিণে সরে যেতে বলা হয়েছে, কিন্তু এসব এলাকাতেই পরবর্তীতে ব্যাপক হামলা চালানো হচ্ছে।
হতাহতের পরিসংখ্যান:
-
গাজা সরকারি মিডিয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি সেনারা সহায়তা কেন্দ্রের কাছে ৫৮০ জনকে হত্যা ও ৪,০০০ জনকে আহত করেছে।
-
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম হাআরৎজের প্রতিবেদনে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেনাদের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, “নিরস্ত্র সাহায্যপ্রার্থীদের ভিড় ছত্রভঙ্গ করতে গুলি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।”
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া:
মানবাধিকার আইনজীবী জেফ্রি নাইস আল জাজিরাকে বলেন, “যারা মানবিক সহায়তা দিচ্ছে, তারাই শত শত মানুষকে হত্যা করছে—এটি বোধগম্য নয়।” তিনি যুগোস্লাভিয়া ট্রাইব্যুনালের কাজেও অংশ নিয়েছিলেন।
পরিস্থিতির জরুরিত্ব:
জাতিসংঘ সতর্ক করেছে, ইসরায়েলের অবরোধ ও হামলায় গাজার ৯৫% জনগণ এখন তীব্র খাদ্য সংকটে ভুগছে।