সম্পাদকীয় বিশ্লেষণ: –
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল একটি আন্তর্জাতিক অলাভজনক সংস্থা।এটি ১৯৯৩ সালে জার্মানে প্রতিষ্ঠিত হয়।এটি বিশ্ব ব্যাপি দুর্নীতি ও সন্ত্রাসবাদ বিরোধী কার্যক্রম পরিচালনা করে।১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠানটি দুর্নীতি সূচক তালিকা প্রকাশ করে।বছরের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির উপর ভিত্তি করে তালিকায় বিভিন্ন দেশের অবস্থান তুলে ধরে।এর প্রধান কার্যালয় জার্মানে অবস্থিত এবং এর মুল ব্যাক্তিত্ব পিটার আইগন।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত হয়। সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাকালীন চেয়ারম্যান ছিলেন সৈয়দ হুমায়ুন কবির। ২০০১ সালে প্রথম দূর্নীতির ধারনা সূচকে তালিকাভুক্ত করা হ্য়। অর্থাৎ ২০০০ সালের ঘটে যাওয়া অনিয়ম ও দুর্নীতির উপর ভিত্তি করে এই ফল প্রকাশ করা হয়। যা আওয়ামীলীগের শেষ আমল ২০০০ সালের দূর্নীতির ফলাফল। ২০০১ সালের দূর্নীতির সূচকে বাংলাদেশ ১০ এর মধ্যে ০’২ স্কোরে ১ম অবস্থান করে। যা প্রকৃতপক্ষে আওয়ামীলীগের দূর্নীতির ফসল। ২০০২ সালে আগের থেকে কম দূর্নীতি হওয়ায় বাংলাদেশ ০’২ থেক ১’২ স্কোর অর্জন করে কিন্ত অবস্থান পরিবর্তন হয়নি।পরবর্তি বছর ২০০৩,২০০৪ ও ২০০৫ সালে দূর্নীতি সূচকে স্কোর ছিল যথাক্রমে ১’৩ ১’৫ ও ১’৭ যা নির্দেশনা করে ধীরে ধীরে বাংলাদেশের দূর্নীতি কমছে যদিও সূচকে অবস্থানের অপরিবর্তন থাকে।
এর ধারাবাহিকতায় ২০০৬ সালে বাংলাদেশ দূর্নীতির সূচকে ২’০ স্কোর করে ৩য় অবস্থানে উন্নীত হয়।যা প্রকৃতপক্ষে বিএনপির অবদান।এছাড়াও বিএনপি ২০০৪ সালে দূর্নীতি দমন কমিশন গঠন করে যার প্রভাবে দূর্নীতি কমতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
২০২৩ সালে আওয়ামীলীগের শেষ আমলে দূর্নীতির সূচকে বাংলাদেশ ২৪ স্কোরে ১৪৯ তম হয়েছিল কিন্তু ২০২৪ সালে ২৩ স্কোর অর্থাৎ (-১) দূর্নীতি বেড়ে ১৫১ তম অবস্থান অর্জন করে যা ড: মুহাম্মদ ইউনূসের আমল ২০২৫ সালে বহন করতে হচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে এটা আওয়ামীলীগের দূর্নীতির ফসল ।
পরিশেষে উপরোক্ত বিশ্লেষণে প্রতিয়মান হয় বিএনপির আমলে দূর্নীতি কমছে যা বিএনপির সফলতা। এছাড়াও ঐ সময়কালে বাংলাদেশ থেকেও অধিকতর দূর্নীতিগ্রস্থ দেশগুলো টি আই এর অন্তর্ভুক্ত ছিল না যে কারনে ঐ সময়ে দূর্নীতির সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান পরিবর্তন হয় নাই। বিএনপির আমলে দূর্নীতির লাগাম ধরার ফলসরূপ দূর্নীতি কমাতে সক্ষম হয়েছিল এবং দূর্নীতি সূচক স্কোর উন্নতি হয়েছিল। কিন্ত উল্টো মিথ্যাচার ও অপপ্রচারের মাধ্যমে পতিপক্ষ বিএনপির এই অর্জনকে মিথ্যাচার করে রাজনৈতিক অপকৌশল হিসেবে ব্যবহার করে আসছে।
