প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে ডিসেম্বরের মধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন। আজ বুধবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রস্তুতি সংক্রান্ত এক সভায় তিনি এ নির্দেশনা দেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম পরবর্তীতে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, নির্বাচনী প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ১৭ হাজার নতুন সদস্য নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে পুলিশ, বিজিবি ও কোস্টগার্ডে। তাদের নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করতে হবে।
শফিকুল আলম বলেন, “নির্বাচনকালীন আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মোট ৮ লাখ সদস্য নিয়োজিত থাকবে, যার মধ্যে ৫ লাখ ৭০ হাজার আনসার ও ১ লাখ ৪১ হাজার পুলিশ সদস্য থাকবেন। সবাইকে ডিসেম্বরের মধ্যে প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করতে হবে।”
প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনী কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, “লোক দেখানো নির্বাচন নয়, এবার প্রকৃত নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। এজন্য প্রয়োজনে রিহার্সাল নির্বাচনেরও ব্যবস্থা করতে হবে।” তিনি প্রতিটি ভোটকেন্দ্র সিসিটিভির আওতায় আনা এবং ঝুঁকিপূর্ণ ১৬ হাজার কেন্দ্রে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ দেন।
নির্বাচনের আগে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও থানা অফিসারদের রদবদল এবং ১৮-৩২ বছর বয়সী ভোটারদের জন্য আলাদা বুথের সম্ভাব্যতা নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান প্রেস সচিব।
সভায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, স্বরাষ্ট্র সচিব নাসিমুল গনি ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সূত্র- বাসস