সেনাবাহিনীর পদোন্নতি নিয়ে অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল আজমীর স্পষ্ট বক্তব্য

অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহিল আমান আজমী সেনাবাহিনীর পদোন্নতি নিয়ে বিভ্রান্তি দূর করেছেন। শুক্রবার রাতে নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, ২০০৫ সালে তাকে সেনাপ্রধান না করে জেনারেল মঈনকে নিয়োগ দেওয়া নিয়ে অনেকের ভুল ধারণা আছে। তিনি স্পষ্ট করেন, ওই সময় তিনি মাত্র কর্নেল থেকে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হয়েছিলেন, তাই সেনাপ্রধান হওয়ার কোনো প্রশ্নই ওঠেনি।

আজমী ব্যাখ্যা করেন যে সেনাবাহিনীতে জ্যেষ্ঠতা ও দক্ষতা একসাথে বিবেচনা করা হয়। জেনারেল মঈনের পর যারা সেনাপ্রধান হয়েছেন তারা সবাই তার চেয়ে সিনিয়র ছিলেন। তিনি আরও বলেন, যদি তাকে অবৈধভাবে চাকরিচ্যুত না করা হতো এবং সেনাবাহিনী রাজনীতিকরণ না হতো, তাহলে সম্ভবত জেনারেল বেলালের পর তার নাম বিবেচনায় আসতে পারত।

জেনারেল রেজ্জাকুল হায়দারকে সেনাপ্রধান না দিয়ে জেনারেল মঈনকে নিয়োগ দেওয়া নিয়েও আজমী স্পষ্ট করেন যে, জেনারেল রেজ্জাকুল ১৯৭৭ সালে কমিশন পেয়েছিলেন এবং ২০০৫ সালে তার সেনাপ্রধান হওয়ার কোনো সম্ভাবনা ছিল না। তিনি জেনারেল মঈনের চেয়ে ৩ বছর এবং জেনারেল রেজ্জাকুল হায়দারের চেয়ে ৬ বছর জ্যেষ্ঠ ছিলেন বলে উল্লেখ করেন।

আজমীর এই বক্তব্য সামরিক বাহিনীর পদোন্নতি প্রক্রিয়া নিয়ে চলমান বিতর্কে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। উল্লেখ্য, তিনি ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় চাকরিচ্যুত হন এবং পরে আদালতের রায়ে পুনর্বহাল হন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top