কোটা সংস্কার থেকে সরকার পতন, তারপর এনসিপি: তরুণ নেতৃত্বের উত্থান ও জাতীয় রাজনীতিতে প্রভাব

২০২৪ সালের জুলাই মাসের কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে জন্ম নেওয়া জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) প্রতিষ্ঠার মাত্র চার মাসেই জাতীয় রাজনীতিতে আলোচনার কেন্দ্রে অবস্থান করছে। এই দলটি, যার নেতৃত্বে রয়েছেন জুলাই আন্দোলনের তরুণ কর্মীরা, ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি শক্তিশালী ভূমিকা রাখতে শুরু করেছে।

দ্রুত উত্থান

গত ২৮ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করা এনসিপি অল্প সময়ের মধ্যেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সংগঠন গড়ে তুলেছে। ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় তাদের কর্মসূচি এবং জনসভা ইতিমধ্যে সাড়া ফেলেছে। দলটির নেতারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় থাকায় তাদের বক্তব্য প্রায়ই সংবাদ শিরোনামে স্থান পাচ্ছে।

নেতাদের কথা

এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা জানান, শুরুতে তাদের লক্ষ্য ছিল কেবল কোটা সংস্কার। কিন্তু আন্দোলনের সময় সহিংসতা ও নিপীড়নের মুখোমুখি হওয়ার পর তারা রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

  • আরিফুল ইসলাম আদিব বলেন, “আমাদের ভাইবোনদের রক্ত বৃথা যেতে দেওয়া যায় না। দেশের জন্য কিছু করতে হলে রাজনীতিতে আসা জরুরি হয়ে পড়েছিল।”

  • হাসনাত আব্দুল্লাহ এর মতে, “রাষ্ট্রীয় সংস্কার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য রাজনৈতিক দল গঠন ছিল অনিবার্য।”

  • সাইফ মোস্তাফিজ যোগ করেন, “জুলাই আন্দোলনের শহীদদের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকেই আমরা এ পথে এসেছি।”

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

এনসিপির লক্ষ্য হলো একটি সুস্থ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা গড়ে তোলা, যেখানে সকল নাগরিকের সমান অধিকার নিশ্চিত হবে। দলটি ইতিমধ্যে নির্বাচনী সংস্কার, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা এবং সংবিধান সংশোধনের দাবি তুলে ধরেছে।

প্রতিক্রিয়া

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এনসিপির উত্থান বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে। তবে এই দলটি কতটা সফল হবে, তা নির্ভর করবে তাদের সংগঠন শক্তি এবং জনসমর্থনের ওপর।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top