ইরান জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষক সংস্থা (আইএইএ) এর মহাপরিচালক রাফায়েল মারিয়ানো গ্রোসির দেশে প্রবেশ এবং পরমাণু স্থাপনায় নজরদারি ক্যামেরা স্থাপন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ ঘোষণা দেন।
প্রধান তথ্যসমূহ:
-
নিষেধাজ্ঞার কারণ: ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ইরান তার পরমাণু সুবিধাগুলোতে আইএইএ’র নজরদারি সীমিত করতে বদ্ধপরিকর।
-
সংসদীয় সিদ্ধান্ত: ইরানের পার্লামেন্ট সম্প্রতি আইএইএ’র সাথে সহযোগিতা স্থগিত করার একটি আইন পাস করেছে, যা এই নিষেধাজ্ঞার ভিত্তি হিসেবে কাজ করছে।
-
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া: এই সিদ্ধান্তের ফলে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে বৈশ্বিক উদ্বেগ আরও বেড়েছে।
হতাহতের পরিসংখ্যান:
-
ইসরাইলি হামলা: গত ১৩ জুন ইসরাইলের হামলায় ইরানে ৬০৬ জন নিহত ও ৫,৩৩২ জন আহত হয়েছেন বলে ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
-
ইরানের পাল্টা হামলা: ইরানের জবাবী হামলায় ইসরাইলে ২৯ জন নিহত ও ৩,৪০০ এর বেশি আহত হয়েছে।
যুদ্ধবিরতি:
গত ২৪ জুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। তবে এই শান্তি প্রক্রিয়া এখনও অত্যন্ত নাজুক অবস্থায় রয়েছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
প্রতিক্রিয়া:
আইএইএ এখন পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে পশ্চিমা দেশগুলো ইতিমধ্যে ইরানের এই সিদ্ধান্তকে “অভ্যন্তরীণ পরমাণু কার্যক্রম গোপন করার চেষ্টা” হিসেবে বর্ণনা করেছে।