ঘটনার সারসংক্ষেপ:
-
আমেরিকার হামলা: প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন যে মার্কিন বাহিনী ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা ফোর্দো, নাতানজ ও ইসফাহানে “অত্যন্ত সফল” স্ট্রাইক চালিয়েছে। তিনি ইরানকে সতর্ক করে বলেন, “মনে রাখো, আমাদের লক্ষ্যবস্তুর তালিকা এখনও অসম্পূর্ণ।”
-
ইরানের জবাব: ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই হামলাকে “অপমানজনক” আখ্যা দিয়ে বলেন, এর “চিরস্থায়ী পরিণতি” হবে। এর মধ্যেই ইরান ইসরাইলের মধ্য ও উত্তরাঞ্চলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে অন্তত ২৩ জনকে আহত করেছে।
-
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া:
-
পরমাণু শক্তি সংস্থা (IAEA) জানিয়েছে, হামলার পর বিষাক্ত বিকিরণের মাত্রা বাড়েনি।
-
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ট্রাম্পের এই “সাহসী সিদ্ধান্ত”-এর প্রশংসা করেছেন এবং বলেছেন, ইসরাইল ও আমেরিকা পূর্ণ সমন্বয়ে কাজ করেছে।
-
-
হতাহতের পরিসংখ্যান:
-
ইরানের দাবি, জুন ১৩ থেকে ইসরাইলের হামলায় ৪০০-এর বেশি নিহত ও ৩,০৫৬ জন আহত হয়েছে।
-
ইসরাইলে ইরানের হামলায় অন্তত ২৪ জন নিহত।
-
গভীর বিশ্লেষণ:
১. আমেরিকার হামলার রণকৌশলগত উদ্দেশ্য:
-
ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ধ্বংস করে দীর্ঘমেয়াদী হুমকি কমানো।
-
ইসরাইলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রাক-emptive strike (প্রতিরোধমূলক হামলা)।
-
ইরানের আঞ্চলিক প্রভাব (হouthi, হিজবুল্লাহ) কমাতে চাপ সৃষ্টি।
২. ইরানের পাল্টা হামলার সম্ভাব্য দিক:
-
প্রত্যক্ষ সংঘর্ষ: ইরান ইসরাইল বা আমেরিকান ঘাঁটিতে আরও বড় হামলা চালাতে পারে।
-
প্রক্সি যুদ্ধ: ইয়েমেনের হouthi বা লেবাননের হিজবুল্লাহর মাধ্যমে আমেরিকা-ইসরাইলের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত।
-
তেলের যুদ্ধ: হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে বৈশ্বিক তেল সরবরাহে ধ্বস।
৩. আন্তর্জাতিক প্রভাব:
-
রাশিয়া-চীন: ইরানের পক্ষে জাতিসংঘে আমেরিকার নিন্দা প্রস্তাব আনতে পারে।
-
ইউরোপ: জ্বালানি সংকটের আশঙ্কায় কূটনৈতিক সমাধান চাইতে পারে।
-
বাংলাদেশ/দক্ষিণ এশিয়া:
-
তেলের দাম বাড়লে জ্বালানিব্যবস্থা ও মুদ্রাস্ফীতি সংকট।
-
মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা বাড়লে প্রবাসী শ্রমিকদের নিরাপত্তা ঝুঁকি।
-
৪. যুদ্ধের সম্ভাব্য গতিপথ:
-
এস্কেলেশন (৭০%): উভয় পক্ষের হামলা বাড়লে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ।
-
কূটনৈতিক সমাধান (৩০%): চীন/ওমানের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি।