প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সর্বোচ্চ ১০ বছর নির্ধারণে অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের ঐকমত্য

প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সর্বোচ্চ ১০ বছর নির্ধারণে অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের ঐকমত্য, বিরোধিতা বিএনপিসহ তিন দলের

সারা জীবনে একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ ১০ বছর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে পারবেন— এমন প্রস্তাবে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে। তবে বিএনপি, বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (বিএলডিপি) এবং এনডিএম এই প্রস্তাবে সম্মতি দেয়নি।

রোববার (২২ জুন) ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ চলাকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।

জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ নির্ধারণ নিয়ে যে বিতর্ক ও জটিলতা ছিল, সেটি নিরসনের লক্ষ্যে আমরা সংলাপে প্রস্তাব দিয়েছি— একজন ব্যক্তি যেন সর্বোচ্চ ১০ বছর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকতে পারেন। এতে বারবার টার্ম বা মেয়াদ নিয়ে প্রশ্ন ওঠার সুযোগ থাকবে না।”

তিনি আরও বলেন, “আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী পদের মেয়াদ পাঁচ বছর। স্বাভাবিকভাবে এটি দুই মেয়াদেই ১০ বছর পূর্ণ হয়। তাই দুইবার পূর্ণ মেয়াদে দায়িত্ব পালন করলে তিনি আর প্রধানমন্ত্রী পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না— এই ব্যবস্থাটি আমরা জরুরি মনে করছি।”

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি এবং বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকও এই প্রস্তাবে সম্মতি প্রকাশ করেন। তাঁদের মতে, বিশ্বজুড়ে বহু দেশে ক্ষমতার অপব্যবহার রোধে এ ধরনের সীমাবদ্ধতা আরোপ করা হয়েছে, এবং বাংলাদেশেও সময় এসেছে এমন সংস্কার বাস্তবায়নের।

তবে বিএনপি, বিএনপি থেকে আলাদা হয়ে গঠিত বিএলডিপি এবং এনডিএম এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে। তারা মনে করে, ক্ষমতা নির্ধারণের বিষয়টি রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জনগণের ভোটের মাধ্যমেই নির্ধারিত হওয়া উচিত।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপে বিভিন্ন দলের মধ্যে একাধিক রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক সংস্কার নিয়ে আলোচনা হয়। কমিশনের পক্ষ থেকে আশা করা হচ্ছে, ধারাবাহিক আলোচনার মাধ্যমে ভবিষ্যতের জন্য একটি গ্রহণযোগ্য রাজনৈতিক কাঠামো নির্ধারণ করা সম্ভব হবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top