গুমের শিকার ব্যক্তিদের চার ধরনের সম্ভাব্য পরিণতির কথা জানিয়েছে গুম সংক্রান্ত কমিশন অফ ইনকোয়ারি। বৃহস্পতিবার (২০ জুন) দ্বিতীয় অন্তবর্তী প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর এক সংবাদ সম্মেলনে কমিশনের সভাপতি, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী এ তথ্য জানান।
গুমের চার ধরনের পরিণতি:
১. হত্যা করা হয়েছে
২. উগ্রবাদী তকমা দিয়ে নতুন বা বিচারাধীন মামলায় গ্রেফতার দেখানো
৩. ভারতীয় সীমান্ত দিয়ে পাঠিয়ে সেখানকার বাহিনীর মাধ্যমে গ্রেফতার করানো
৪. অল্প সংখ্যক ক্ষেত্রে মামলা না দিয়ে ছেড়ে দেওয়া
বিচারপতি মইনুল ইসলাম বলেন, বিগত কর্তৃত্ববাদী সরকার রাজনৈতিক ভিন্নমত দমন করতে গুমকে পদ্ধতিগতভাবে ব্যবহার করেছিল। এই প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থী, সাংবাদিক, রাজনৈতিক কর্মীসহ সাধারণ নাগরিকরা শিকার হন।
তিনি আরও বলেন, “গোপন আটক কেন্দ্রের অস্তিত্ব এখন আর অস্বীকার করার উপায় নেই। একই ধরনের নির্যাতন, মামলা ও ভাষার মিলই প্রমাণ করে এটি একটি সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড।”
প্রতিবেদন অনুযায়ী:
-
কমিশনে দাখিলকৃত ১৩১টি অভিযোগ আইজিপির কাছে পাঠানো হয়েছে।
-
১২ জন ফেরত না আসা ভিকটিমের বিষয়ে প্রাথমিকভাবে দায়ীদের শনাক্ত করা গেছে।
-
তদন্তে কয়েকটি প্রতিবন্ধকতা, যেমন পুরনো কললিস্ট না পাওয়া, সাক্ষীদের ভয়ভীতি, প্রমাণ ধ্বংস ইত্যাদি সামনে এসেছে।
কমিশনের সদস্য বিচারপতি ফরিদ আহমেদ শিবলী, মানবাধিকারকর্মী নূর খান, নাবিলা ইদ্রিস ও সাজ্জাদ হোসেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
কমিশন আরও সুপারিশ করেছে সন্ত্রাসবিরোধী মামলাগুলোর ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণ এবং মালয়েশিয়া-ইন্দোনেশিয়ার মতো কার্যকর কাউন্টার-টেরোরিজম মডেল অনুসরণে উচ্চ পর্যায়ের সংলাপ আয়োজনের।