পুলিশকে জনবান্ধব হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, স্বৈরাচার পতনের পর পুলিশ বাহিনী কিছুটা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল। তবে অন্তর্বর্তী সরকার পুলিশকে পুনরায় সক্রিয় করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে এবং তাদের কাজের সহায়ক পরিবেশ তৈরির জন্য কাজ করছে।

মঙ্গলবার রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে পুলিশকে একটি দলীয় বাহিনীতে পরিণত করা হয়েছিল। অবৈধ আদেশ পালন করতে গিয়ে পুলিশ জনগণের অসন্তোষের শিকার হয়েছে, যার ফলে অনেক সৎ অফিসারও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, “বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ যখন মাথা উঁচু করে দাঁড়াচ্ছে, তখন পুলিশ এই স্বপ্ন পূরণের প্রধান শক্তি। এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো স্বৈরাচার আমলে জনগণের সঙ্গে পুলিশের যে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল, তা কমিয়ে পুলিশের প্রতি মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনা। আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে মানুষ ও পুলিশের মধ্যেকার দূরত্ব ঘুচিয়ে ফেলা, যাতে জনগণ পুলিশকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করে।”

একটি সুষ্ঠু নির্বাচন অত্যাবশ্যক উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, নির্বাচনের পূর্ববর্তী সময়টা বেশ কঠিন। তাই পরাজিত শক্তি যাতে কোনোভাবেই দেশকে অস্থিতিশীল করতে না পারে, সে জন্য পুলিশকে সতর্ক থাকতে হবে।

তিনি বলেন, “আমরা এক প্রকার যুদ্ধাবস্থায় আছি। অশুভ শক্তি আমাদের স্বপ্ন ও ঐক্য নস্যাৎ করতে তাদের সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ করছে। এটি প্রতিরোধে পুলিশকে সজাগ থাকতে হবে।”

প্রধান উপদেষ্টা জানান, চলতি বছরের ডিসেম্বর মাস অথবা আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু হয়, সে জন্য পুলিশের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচনে সকল প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর প্রতি নিরপেক্ষ আচরণ এবং ভোটাররা যাতে নির্ভয়ে ভোট দিতে পারেন, সেই পরিবেশ নিশ্চিত করা পুলিশের দায়িত্ব।

 

 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top